লাল কলা চাষে কৃষকের মুখে হাসি
জেলা প্রতিবেদক
পিরোজপুরের কাউখালীতে লাল (অগ্নি সাগর) কলার ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। দাম ও চাহিদা বেশী থাকায় এখন বানিজ্যিক কলার আবাদে ঝুঁকছেন কৃষকরা। কৃষকদের জীবনও হয়ে উঠছে স্বচ্ছল।
স্বাভাবিক ভাবে আমরা জানি যে, কাঁচকলার রং হবে সবুজ আর পাকা কলার হলুদ। কিন্তু অগ্নি সাগর কলা লাল। আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। লাল কলা সত্যিই আছে। এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকায় জন্মে এই কলা। অস্ট্রেলিয়ায় র্যাড ডাক্কা ব্যানানা (Red Dacca Banana) নামে পরিচিত এটি। বাংলাদেশে এটি অগ্নি সাগর কলা হিসেবে পরিচিত।
লাল কলার খোসার রং হলুদাভ কমলা, গাঢ় কমলা, লাল এবং লালচে বেগুনিও হয়। ভেতরটা হলুদ কলার মতোই ক্রিম রং, তবে কখনো কখনো গোলাপি আভাও থাকে। লাল কলার রং যত গাঢ় হয়, এতে ক্যারোটিন ও ভিটামিন সি-এর পরিমাণও তত বেশি হয়।
বছর দশেক আগে যেখানে ২-৩ টি অগ্নি সাগর কলার বাগান ছিল সেই পিরোজপুর জেলার কাউখালীতে এখন বানিজ্যিক কলার আবাদে অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে স্থানীয় চাষীদের দেখে বেকার যুবকরা উদ্ভুদ্ধ হচ্ছে কলা চাষে। চাহিদা মিটিয়ে পাশ্ববর্তী বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে কাউখালীর কলা।
এলাকার চাষীরা সাধারণত কাঠালি কলাসাগর কলা, সবরি কলার চাষ করে থাকেন। এ বছর অগ্নি সাগরের প্রতি ঝুঁকেছেন কলা চাষীরা। কারণ এর দাম ও চাহিদা বেশী। প্রতি একর জমিতে ৮০০-১০০০ চারা রোপণ করা যায়। ১১-১২ মাস পর এই রোপণকৃত গাছ থেকে কলা পাওয়া যায়।
কৃষকরা জানান কলা বিক্রি করার জন্য আমাদের দূরে কোথাও যেতে হয় না। বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে এখান থেকে কলা কিনে নিয়ে যায় বাগান থেকে। প্রতি হালি (৪টি) কলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
কাউখালী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অপূর্ব লাল সরকার জানান, এ বছর কাউখালীতে শিয়ালকাঠী, বিড়ালজুরি, জোলাগাতী, চিরপাড়ায় অগ্নি সাগর কলার চাষ করা হয়েছে। এ ছাড়া এলাকায় ২৫ হেক্টর জমিতে কলার চাষ হয়। এলাকার মাটি কলা চাষে বেশ উপযুক্ত হওয়ায় উপজেলায় অচিরেই এটি একটি অর্থকরী কৃষিজ পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করবে বলে স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে